আব্দুল মান্নান সিদ্দিকী:
মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার আড়িয়ল বিল সহ যে সব জমিতে বোরো ধানেরআবাদ করা হচ্ছে সে জমি গুলিতে জমির মালিক সহ কৃষি কাজে নিয়োজিত শ্রমজীবীরা উৎসবমুখর পরিবেশে বীজতলা হতে বোরো ধানের চারা উত্তোলন করে জমিতে রোপন করছেন ।
আবার অনেকে জমির আগাছা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নও পরিচর্যার কাজে ব্যস্তদেখা যাচ্ছে । যেসব জমিতে জলাশয় রয়েছে সেসব জমিতে কৃষককে পানি সেচতে দেখা গেছে।
কৃষক বিল্লাল হোসেন জানান ,তার জমি নিচু হওয়ায় বর্ষাকালে পানি জমিতে প্রবেশ করেছেএবং সে পানি এখনো আটকে আছে।
এ পানিকে বলা হয় কালপানি আর কাল পানিতে ধান লাগানোর ফলে সেচ যন্ত্রের সাহায্যে পানি দিতে হবে না আর কাল পানিতে ধানের ফলন ও ভাল হয় ।
কৃষক আব্দুর রহমান এপ্রতিনিধিকে জানান,তিনি এবার তিন পাখি জমিতে বোরো ধানের আবাদ করবেন ।তাই একা তার পক্ষে ধানের চারা রোপন সম্ভব নয় বলে,তিনি দুইজনশ্রমজীবী নিয়োগ দিয়েছেন।তিন বেলা খাবার সহ তাদের দৈনিক ৭০০ টাকায় হাজিরা নিয়োগ দিয়েছেন।
শ্রমজীবী সামিউল আলম ও জুলমতএ প্রতিনিধিকে জানান,তারা সারা বছরই শ্রমজীবীর কাজ করে থাকেন যখন যে কাজ পানতাই করেন।এখন চলছেবোরো ধানেরচারা রোপনের মৌসম সারা বছর কাজের চাপ কম থাকলো এখন তাদের চাহিদা বেশি।দৈনিক তিন বেলা খাবারের পর ৭০০ টাকা হাজিরা পেয়ে তারা সন্তুষ্ট ।
আব্দুর রহমান আরো জানান ,যদি কোন প্রকার প্রাকৃতিক দুর্যোগ না ঘটে ,আবহাওয়া যদি অনুকূলে থাকে তাহলে বৈশাখ মাসের শেষ সপ্তাহে তার জমিতে রোপনকৃত বোরো ধানের ২ শত মন ফলন ঘরে তুলতে পারবেনবলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করলেন