মোঃ রাসেল মোল্লা, রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ)ঃ
নারায়ণগঞ্জের চনপাড়ার শীর্ষ সন্ত্রাসী ২৩ মামলার আসামি বজলুর রহমান ওরফে বজলু মেম্বারের আস্তানা থেকে জাল নোট, অস্ত্র ও মাদক জব্দ করার কথা জানিয়েছে র্যাব।
শনিবার দুপুরে (১৯ নভেম্বর) র্যাব-১ থেকে পাঠানো এক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়। র্যাব জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বজলু চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। র্যাবের ওপর হামলা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
র্যাব- ১ এর অধিনায়ক লেফেটেন্যান্ট কর্নেল আব্দুল্লাহ আল মোমেন জানান, শুক্রবার র্যাব-১ এর একটি আভিযানিক দল জানতে পারে, চনপাড়া পুনর্বাসন কেন্দ্র (চনপাড়া বস্তি) এলাকায় মাদককারবারি বজলুর রহমান ওরফে বজলু অবস্থান করছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে বিকালে অভিযান চালিয়ে বস্তি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এ সময় তার কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন, ৫ রাউন্ড গুলি, ২২০ গ্রাম হেরোইন, একটি মোবাইল, ভারতীয় জাল রুপি, বাংলাদেশি ৭৫ হাজার টাকার জাল নোট এবং মাদক বিক্রির ২১ হাজার ৫০০ টাকা উদ্ধার করা হয়।
র্যাব-১ অধিনায়ক আরও জানান, বজলু চিহ্নিত অস্ত্রধারী, দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী ও মাদককারবারি। তিনি নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের চনপাড়া বস্তি এলাকার মাদক কারবারের হোতা ও নিয়ন্ত্রক। বজলু দীর্ঘ দিন ধরে মাদক কারবারের সঙ্গে জড়িত। এ ছাড়া নারায়ণগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন জেলাতে তার বেশ কয়েকজন সহযোগী হিসেবে কাজ করে থাকে। এ ছাড়াও তার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কার্যকলাপসহ বিভিন্ন অপরাধে এখন পর্যন্ত ২৩ টি মামলার তথ্য পাওয়া গেছে।
বজলু চনপাড়া বস্তিসহ আশেপাশের এলাকায় মাদক কারবারিদের কাছ থেকে মাসিক ভিত্তিতে টাকা তুলতো বলে জানান কর্নেল আব্দুল্লাহ আল মোমেন। তিনি বলেন, চনপাড়ায় শীর্ষ ৫/৬ টি মাদক কারবারির প্রধান সমন্বয়ক ও গডফাদার হলেন বজলু। বস্তি এলাকার প্রায় ২০০টি স্পট থেকে কয়েকটি সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বজলু মাদকের কারবার পরিচালনা করে আসছিলেন বলে প্রাথমিক তথ্য পাওয়া গেছে।
বজলু কায়েতপাড়া ইউপির ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার। তিনি স্থানীয় উঠতি বয়সের ছেলেদের কাছে বজলু ভাই নামে পরিচিত। বজলুকে কেউ চাঁদা না দিলে তার ওপর নেমে আসতো ভয়াবহ নির্যাতন। চনপাড়ায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে গত এক-দেড় বছরে নিহত হয়েছেন ছয়জন।
গত ২৭ সেপ্টেম্বর চনপাড়ায় বজলু বাহিনী র্যাবের ওপর হামলা চালায়। এ ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার র্যাবের নায়েব সুবেদার তৌফিকুল ইসলাম রূপগঞ্জ থানায় তিনটি মামলা করেন। মামলায় ইউপি সদস্য বজলুর রহমান বজলুসহ ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ৪০০ থেকে ৫০০ জনকে আসামি করা হয়।