আব্দুল মান্নান সিদ্দিকীঃ
মুন্সিগঞ্জ জেলার বিভিন্ন উপজেলার রাস্তাঘাট, ফুটপাত, স্কুল, কলেজ গেট, খোলা মাঠে, ইক্ষুর রস বিক্রি হচ্ছে।
তীব্র গরমে অতিষ্ঠ তৃষ্ণার্ত ব্যক্তি সহ শিশু-কিশোর, যুব ও বয়োবৃদ্ধ,স্কুল কলেজের ছাত্র খেটে খাওয়া সাধারন জনতা এসব রস বিক্রেতাদের কাছ থেকে পান করে তূষ্ণা মেটাচ্ছেন
।যেসব মেশিনের সাহায্যে ইক্ষু ভাঙ্গানো হচ্ছে সেসব যন্ত্র অপরিচ্ছন্ন, এছাড়া যে পাত্রে রস সংগ্রহ করা হচ্ছে তারও পরিচ্ছন্নতার ঘাটতি রয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। যে গ্লাসে বিক্রেতাদের রস পরিবেশন করা হচ্ছে তা বারবার না ধুয়েই নোংরা একই গ্লাসে বিক্রেতারা বার বার রস পরিবেশন করা হচ্ছে।এতে বিভিন্ন প্রকার রোগে আক্রান্ত রোগীরাযদিএ রস পান করেন আর রোগটি যদি হয় ছোয়াছুয়ি তা হলে জনসাস্থ ঝুঁকির আশঙ্কা রয়েছে ।
৭০বছরবয়সি আজিজ খান বড় এক গ্লাস আখের রস পান করে তৃপ্তির ঢেকুর দিয়ে বললেন,প্রচণ্ড গরমে বড়ই তৃষ্ণার্ত ছিলাম রস খেয়ে তৃষ্ণা কেটে গেছে। এখন অনেক ভালো মনে হচ্ছে। সোমাইয়া ও তার ছোট ভাই ছোট দু গ্লাস রস পান করে তারাও বেজায় খুশি।
ইক্ষুর রস বিক্রেতা সেলিম সেখ এই প্রতিনিধিকে জানান, তার মেশিন পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করেই আখের রস ভাঙ্গান,রস সংরক্ষিত পাত্র এবং গ্লাস পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখেন।
তিনি প্রতিদিন প্রায় এক হাজার টাকা রস বিক্রি করেন এতে তার পাচ শত টাকালাভ হয় ।
ঢাকা দোহার ফুল তলা আব্দুররাজ্জাক ডেন্টাল হাসপাতাল এন্ড ফিজিওথেরাপি সেন্টারে এর স্বত্বাধিকারী ডাক্তার আব্দুর রাজ্জাক এ প্রতিনিধিকে জানান,বাহিরে খোলামেলা নোংরা পরিবেশে কোনো খাদ্যইনিরাপদ নয়।খোলামেলা পরিবেশে ইক্ষুর রস খেলে আমাশয় ডায়রিয়া, লিভার সিরোসিস সহ স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ,এছাড়া আখের রসে যে বরফকুচি ব্যবহার করা হয় সে বরফের পানি ও বিশুদ্ধ নয়।
তাই এ সব পরিবেশে সব ধরনের খাবার পরিহার করা আবশ্যক।