আব্দুল মান্নান সিদ্দিকীঃ
মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগরে ১৪ ডিসেম্বর দিবাগত রাত যত বৃদ্ধি হচ্ছিল কুয়াশাও ততবৃদ্ধি পাচ্ছিল।এ সময় গ্রাম অঞ্চলেরটিনের চালে গাছের ডালে এমনভাবে কুয়াশা পড়ছিল যেন বৃষ্টি হচ্ছে।ভোর হতে না হতেই কুয়াশার চাদরে ঢেকে যায় বাড়িঘর, ফসলি জমি ওজনপথ।
কুয়াশা তীব্রতায় জনপদ গুলো অন্ধকার ছন্ন পরিবেশের সৃষ্টির ফলে রাস্তাঘাটে কিছুই দেখা যাচ্ছিল না।ভারি ও যাত্রীবাহী যানবাহন,অটোরিকশা চালক কে হেডলাইট ব্যবহার করে রাস্তায় চলাচল করতে দেখা গেছে।পথচারীরাও সাবধানে সড়কে চলাচল করেছেন।
তীব্র কুয়াশা ও শীতে সবচেয়ে বেশি কষ্টও দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন ভাসমান গরিব অসহায় যারা ফুটপাতও রাস্তার পাশে রাত্রি যাপন করেন।
এ ছাড়া খেটে খাওয়া শ্রমজীবী তীব্র শীত ও কুয়াশাকে উপেক্ষা করে তারা কাজে যোগদান করেছেন।রিক্সা ও অটো রিক্সা চালককে সড়কে, কৃষক ও কৃষি শ্রমজীবীকে জমিতে কাজ কাজ করতে দেখা গেছে।
কৃষক আব্দুল জলিল তীব্র কুয়াশা ও শীতকে উপেক্ষা করে তার জমিতে কাজ করছিলেন,তিনি এ প্রতিনিধিকে জানান,
তীব্র কুয়াশার ফলে,ফসলি জমিতে পোকামাকড়ের আক্রান্ত হয়ে, ফসলি জমির ফসল ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
অটো চালক হাবিবুর রহমান ভূঁইয়া এ প্রতিনিধিকে জানান,
তীব্র শীতও কুয়াশাকে উপেক্ষা করেই রাস্তায় গাড়ি নামিয়েছেন,প্রতিদিন গাড়ি ভাড়া দিতে হয় ৫০০ টাকা।
তারপরে নিজ সংসারের খরচ,তাই বাধ্য হয়ে রাস্তায় নেমেছেন।
তিনি আরো জানান,
কুয়াশাচ্ছন্ন পরিবেশে রাস্তাঘাট দেখে, হেড লাইট জ্বালিয়ে খুব সতর্কভাবে গাড়ি চালাচ্ছেন,যাতে তিনি ও তার যাত্রী সড়ক দুর্ঘটনা হতে রক্ষা পান।