নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলার ঘিলাতলী সামাদিয়া ফাজিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে দাখিল পরীক্ষার গণিত বিষয়ে নকল সরবরাহের অভিযোগে আজ বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল ২০২৫) ওই মাদ্রাসার অফিস সহায়ক কাম হিসাব সহকারী জসিম উদ্দিন বকাউলকে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও প্রথম শ্রেণির ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ আমজাদ হোসেন দুই বছরের বিনাশ্রমে কারাদন্ড প্রদান করেছেন। এ ঘটনায় ওই কেন্দ্রের সচিব মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আবুল বাশার প্রধানীয়া ও হল সুপার কাচিয়ারা জামালিয়া আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ এ, কে, এম ওয়ালিউল্যাহ কে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
এছাড়াও কেন্দ্র সংলগ্ন আবু সাঈদের ফটোস্ট্যাট ও ষ্ট্রেশনারী দোকানে উত্তরপত্রের মিল সম্বলিত কাগজ পাওয়ায় উক্ত দোকানটি সীলগালা করে দেওয়া হয় এবং তার বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলার প্রস্তুতি চলছে। এ ঘটনার তদন্তের জন্য তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার গাউছুল আজম পাটোয়ারী বলেন, ওই দিন দাখিল গণিত পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে মাদ্রাসার অফিস সহায়ক কেন্দ্র সচিবকে না জানিয়ে কেন্দ্রের বাহিরে গিয়ে শিক্ষার্থীদের তথ্য দিয়ে সহায়তার জন্য ফটোকপি করতে আবু সাঈদের দোকানে যায়। এ বিষয়টি বাহিরে একাধিক সাংবাদিকদের নজরে আসলে তারা জেলা প্রশাসককে ফোন দিয়ে অবগত করান। জেলা প্রশাসক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে বিষয়টির সত্যতা পাওয়া গেলে তিনি কেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে অভিযুক্ত মাদ্রাসার অফিস সহায়ক গিয়াস উদ্দিন বকাউলকে দুই বছরের বিনাশ্রমে কারাদন্ড প্রদান করেন। ওই কেন্দ্রে দায়িত্ব থাকা কেন্দ্র সচিব ও হল সুপার কে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি প্রদান করেন। এ সময় অভিযুক্ত আবু সাঈদের ফটোস্ট্যাট ও ষ্ট্রেশনারী দোকানে উত্তরপত্রের সাথে কাগজপত্রের মিল থাকার অভিযোগে তার দোকান সীলগালা করে দেওয়া হয় এবং তার বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, ওই কেন্দ্র সচিব ও হল সুপারের পরিবর্তে কালিয়াইশ ইসলামীয়া ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মোঃ সফিকুল ইসলামকে কেন্দ্র সচিব এবং নন্দীখোলা ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ এ কে এম আলী আহাম্মদ কে হল সুপারের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটিকে আমি সহ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার নাজমুন নাহার উপসহকারী প্রকৌশলী ফেরদৌস আহম্মেদ কে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ১ম শ্রেণির ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ আমজাদ হোসেন জানান, দাখিল গণিত পরীক্ষায় উপজেলার ঘিলাতলী ফাজিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে নকল সরবরাহ করার অভিযোগটির সত্যতা পাওয়া গেলে ভ্রাম্যমান আদালতে অফিস সহায়ক গিয়াস উদ্দিন বকাউলকে দুই বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ড দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে কেন্দ্রের কেন্দ্র সচিব ও হল সুপার কে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি ও তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।