নিজস্ব প্রতিবেদক:
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপকমিটির সদস্য এম ইসফাক আহসান সিআইপি বলেন, শারদীয় দূর্গোৎসব সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব হলেও তা শত শত বছর ধরে বাঙালীদের মিলনমেলার একটি অন্যতম মাধ্যম হিসেবে কাজ করছে। সকলে মিলে যেমন স্বাধীনতার লাল সূর্য্য অর্জন করে ছিলেন, তেমনি ধর্মীয় উৎসবের আনন্দও বাঙালীরা প্রাণ ভরে উপভোগ করেন।
তিনি আরোও বলেন,বিভিন্ন পূজা মন্ডপ পরিদর্শন করেছি, কোথাও আস্থাহীনতা দেখছি না মানুষের মধ্যে কোনো ভয়ভীতি নাই। শেখ হাসিনা সরকার আমলেই সকল ধর্মাবলম্বীরা তাদের উৎসব শান্তিপূর্ণ ভাবে পালন করতে পারছে। বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিতে বিশ্বাসী। আর সেই কারণেই হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন ধর্ম যার যার উৎসব সবার। সম্প্রীতির বন্ধনকে দীর্ঘ করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রতিটি নেতাকর্মী আজ আপনাদের পাশে রয়েছে। ভবিষ্যতেও থাকবে। সকলের সর্বত সহযোগিতায় সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে পূজা সম্পন্ন হবে বলে তিনি দৃঢ়ভাবে আশাবাদ ব্যাক্ত করেন।
শনিবার (২১ অক্টোবর) মতলব দক্ষিণ উপজেলা সদরে শ্রী শ্রী জগন্নাথ দেব ও কলাদী হরিসভা মন্দির পরিদর্শনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথাগুলো বলেন। শ্রী শ্রী জগন্নাথ দেব মন্দিরের দুর্গোৎসব কমিটির সভাপতি বিজয় বণিকের সভাপতিত্বে ও গণেশ ভৌমিকের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মন্দির কমিটির সভাপতি শংকর রাও নাগ, সহ-সভাপতি প্রফেসর নারায়ন সাহা, সাধারণ সম্পাদক চন্দন সাহা, মতলব পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সারোয়ার সরকার লিখন প্রমুখ।
এ সময় হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের মতলব দক্ষিণ উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক বাদল নন্দী, শ্রী শ্রী জগন্নাথ দেব মন্দির কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুকুমার ঘোষ, শারদীয দুর্গোৎসব উদযাপন কমিটির সহ-সভাপতি লিটন সাহা, উত্তম সরকার, সহদেব দাস, সাংবাদিক সমীর ভট্টাচার্য, বাসুদেব সাহা, সাধারণ সম্পাদক শংকর সাহাসহ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দলীয নেতৃবৃন্দ এবং ভক্তবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এর আগে তিনি কলাদী শ্রী শ্রী হরিসভা মন্দির পরিদর্শন করেন এবং প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। পরে তিনি ব্যক্তিগত তহবিল থেকে মতলব বাজার জগন্নাথ দেব মন্দির ও কলাদি হরিসভা মন্দিরে আর্থিক অনুদান প্রদান করেন।