আব্দুল মান্নান সিদ্দিকীঃ
মুন্সিগঞ্জ জেলার শ্রীনগর ঢাকা শ্রীনগর দোহার সড়কের ফুটপাতে বিক্রি হচ্ছে, হাতকাটা মহাশংকর তৈল নামক তরল পদার্থ মহৌষধ।৭ ডিসেম্বর সকাল দশটায় রাজা আহামেদ(জসিম)ঢাকা শ্রীনগর দোহার সড়কে এ মহৌষধ বিক্রি করছিলেন।এ সময় তার চারদিকে অবস্থান করছিলেন রোগীরা।
রাজা আহমেদ এ প্রতিনিধিকে জানান, এ তৈল ব্যবহারের ফলে যে সব রোগের উপশম হয় তা হচ্ছে,পুরাতন বাত ব্যথা,চোট লাগা ব্যথা,কান পাকা,হঠাৎ শরীরে অঙ্গ পতঙ্গ পুড়ে যাওয়া,চর্মরোগ,খোঁচ পাচড়া,খুজলি পাপড়ি,দাউদ একজিমা,অশ্ব, একশিরা,ধ্বজভঙ্গ, কবুতর, হাঁস মুরগী রোগ।
তিনি আরো জানান,সুনামের সাথে দীর্ঘ ৪০ বছর যাবত ফুটপাতে এ ঔষুধ বিক্রি করছেন তিনি ও
তার পিতা। রোগীরা এ তেল ব্যবহার করার ফলে তাদের রোগ উপশম হচ্ছে।
কবিরাজ রাজামিয়া নিজ হাতে উপস্থিত কয়েকজন রোগীর পিঠে ওষুধ ব্যবহার করলেন। কতটুকু উপকার পাওয়া গেছে তাৎক্ষণিক ভাবে তা জানা যায়নি।একজন পল্লী চিকিৎসক ও নাকি ১০ ফাইল(১০ শিশি) তৈল সংগ্রহ করেছেন বলে তিনি জানান।
এ প্রতিনিধি আরো জানতে চান এত ভালো ঔষুধ হওয়া সত্ত্বেও আপনারা কেন দেশের বিভিন্ন ফার্মেসিতে এ তৈল সরবরাহ করছেন না ? তিনি জানান,কবিরাজ গণ বিভিন্ন প্রকার গাছ সংগ্রহ করে হারবাল পদ্ধতিতে ঔষুধ তৈরি করে থাকেন। কেন কবিরাজই ফার্মেসিতে ঔষুধ বিক্রি করেন না,এভাবে রাস্তা, ঘাট, ফুটপাত,বাজারে ঔষধ বিক্রি করে থাকেন।আমিও তাই করি।
বাত ব্যথা রোগী আব্দুস সামাদ মৃধা(৭০)তিনটি ফাইল(তিন শিশি)সংগ্রহ করলেন।
সাবেক ইউপি মেম্বার ইসমাইল(৫০)জানান,উপস্থাপক যেভাবে প্রচার করলেন ও লিফলেট দিলেন তাতে তার বিশ্বাস জন্মেছে। তাই তিনিও একটি ফাইল (১শিশি) সংগ্রহ করছেন দেখা যাক কি হয়?
চিকিৎসক আব্দুর রাজ্জাক জানান,ফুটপাতে উপস্থাপকের মিষ্টি মধু বক্তব্য শুনে এ ধরনের ঔষধ ক্রয়, সংগ্রহ ও ব্যবহার না করাই ভালো।