মো: ফেরদৌস জোর্য়াদ্দার(ঝিনাইদহ ):
ঝিনাইদহে যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতীয় শোক দিবস ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭ তম শাহাদতবার্ষিকী পালিত হেয়েছে। সোমবার সকালে শহরের বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক সংগঠন ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে শোক র্যালী বের করা হয়। র্যালী শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রেরণা-৭১ চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। পরে প্রেরণা একাত্তর চত্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তাবোক অর্পণ করা হয়। প্রথমে রাষ্ট্রের পক্ষে জেলা প্রশাসন, পরে পুলিশ সুপার, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, জেলা সিভিল সার্জন, পৌর প্রশাসক শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। একে একে জেলা আওয়ামীলীগ, ছাএলীগ, কৃষকলীগ, শ্রমিকলীগ, মহিলালীগ, জাতীয় মহিলা সংস্থা সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, স্কুল-কলেজ, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও সাংবাদিক সংগঠনের পক্ষ থেকে পুস্পমাল্য অর্পণ করা হয়।
পরে জেলা শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এতে সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য খালেদা খানম, জেলা প্রশাসক মনিরা বেগম, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টুসহ অন্যান্যরা বক্তব্য রাখেন।
বক্তারা বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগষ্ট এই দিনে কিছু চক্রীমহল ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি স্বাধীনতার মহান ঘোষক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ঢাকাস্থ ৩২নং বাসভবনে সপরিবারে হত্যা করে। জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক জনাব সাইদুল করিম মিন্টু বলেন, কুচক্রী মহল বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে চেষ্টা করেছিল পৃথিবীর মানচিত্র থেকে স্বাধীন বাংলাদেশের নাম মুছে ফেলতে। কিন্তু বাংলার মানুষ সে ষড়যন্ত্রকে বুঝতে পেরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বুকে ধারণ করে বিশ্ব মানচিত্রে “বাংলাদেশ” নামটি গর্বের সাথে মাথা উচু করে ধরে রেখেছে। সাইদুল করিম মিন্টু বঙ্গবন্ধুর পলাতক খুনিদের দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের আওতায় আনার দাবী জানান।
সভা শেষে দোয়া মাহফিল ও গণভোজের আয়োজন করা হয়।