মাহবুব আলম লাভলু :
প্রতিষ্ঠার প্রায় দুই যুগ পরে বিশুদ্ধ পানির আওতায় আসছে চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলর ছেংগারচর পৌরসভার ৩ হাজার পরিবার। আজ রোববার(৪ সেপ্টেম্বর) পৌরসভার জজ নগর এলাকায় ৪০ পৌরসভা ও গ্রোথ সেন্টার অবস্থিত পানি সরবরাহ এবং এনভায়রনমেন্টাল স্যানিটেশন প্রকল্পের(২য় পর্যায়) আওতায় ভূ-গর্ভস্থ্য পানি শোধনাগার ও উচ্চ জলধারা থেকে পানি সরবরাহের উদ্বোধন করা হবে। আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করবেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম ও আলহাজ্ব অ্যাডভোকেট নূরুল আমিন রুহুল এমপি।
১৯৯৮ সালের ৫ এপ্রিল এ পৌরসভাটি ‘গ’ শ্রেণিতে প্রতিষ্ঠা হয়। ২০১১ সালের ৭ আগস্ট গ শ্রেণী থেকে খ শ্রেণীতে উন্নীত হয়। পরবর্তীতে ২০১৭ সালের ১১ জানুয়ারী এ পৌরসভা কে ক শ্রেণীতে উন্নীত করা হয়। পৌরসভাটি প্রতিষ্ঠার পর গ্রাহক পর্যায়ে বিশুদ্ধ পানি পৌছানোর জন্য দুটি পাম্প ও পাইব লাইন নির্মান করলেও শেষ পর্যন্ত আলোর মুখ দেখেনি। গ্রাহক লাইন না নেওয়ায় এবং কর্তৃপক্ষ লাইন দেওযার ব্যবস্থা না করায় পাম্প দুটি চালু হয়নি।
পানি শোধনাগার ও উচ্চ জলধারা নির্মাণের জন্য ৬৫ শতাংশ ভূমিদাতা হচ্ছেন পৌরসভার সাবেক মেয়র আলহাজ্ব রফিকুল আলম জজ।
ভূ-গর্ভস্থ্য পানি শোধনাগার ও উচ্চ জলধারা নির্মাণ কাজ বাস্তবায়নকারী সংস্থা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের মতলব উত্তর উপজেলা সূত্রে জানা যায়, ভূ-গর্ভস্থ্য পানি শোধনাগার উৎপাদন ক্ষমতা প্রতি ঘণ্টায় ২৫০ ঘনমিটার । ৪৫০ ঘনমিটার ধারন ক্ষমতা সম্পন্ন উচ্চ জলধারা। ২৭ কিলোমিটার পাইপ লাইন নির্মাণ কাজ করা হয়েছে। পানি বিশুদ্ধ করার জন্য সর্বাধিক আধুনিক ফিল্টার পদ্ধতি নেওয়া হয়েছে। এটি নির্মাণ করতে সরকারের ব্যয় হয়েছে প্রায় ১০ কোটি টাকা।
ছেংগারচর পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ তফাজ্জল হোসেন জানান, ৩ হাজার পরিবারের মধ্যে ভূ-গর্ভস্থ্য পানি শোধনাগার ও উচ্চ জলধারা থেকে পানি সরবরাহ করতে পারবো। ইতিমধ্যে ৬০০ হাউজ লাইন টানা হয়েছে এবং শতাধিক গ্রাহক বাসায় লাইন সংযোগ নিয়েছেন।
ছেংগারচর পৌরসভার প্রশাসক ও সহকারী কমিশনার(ভূমি) হেদায়েত উল্লাহ বলেন, পৌরবাসী বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ পাওয়া ছিল তাদের অধিকার। অনেক পরে হলেও তারা বিশুদ্ধ পানি পেয়ে যাচ্ছেন। পৌরবাসী আর বিশুদ্ধ পানির সংকটে পড়বেন না। গ্রাহকদের পানির লাইনের সংযোগ নেওয়ার আহবান জানাচ্ছি।