আবদুল মান্নান সিদ্দিকীঃ
২৪ অক্টোবর পূর্ব দিগন্তে সূর্য উদয় হলেও ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে মুন্সীগঞ্জে সূর্যের আলোমেলেনি।কখনো মুষলধারে কখনো,হালকা গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হচ্ছে এতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে ,জেলে,কৃষক, শ্রমজীবী,কর্মজীবী,ও ছাত্র-ছাত্রীদের।
একটি মাদ্রাসার পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্র সামীর এ প্রতিনিধিকে জানান, সামনের মাসেই বার্ষিক পরীক্ষা যত ঝড়-তুফান হোক না কেন এই মুহূর্তে মাদ্রাসা খোলা ও পরীক্ষার প্রস্তুতি চলছে তাই বাধ্য হয়ে তাকে মাদ্রাসা আসতে হয়েছে।
আবেশ উত্তর কামারগাঁওএকটি উচ্চ বিদ্যালয় অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র সে ক্লাস টেস্ট পরীক্ষা দিচ্ছে,এ পরীক্ষার মার্ক ফাইনাল পরীক্ষায় যুক্ত হবে তাই সে পরীক্ষা দিতে যাচ্ছে।
একটি বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক মাহফুজা এ প্রতিনিধিকে জানান ছাত্র ছাত্রীরা আমাদের সন্তান সমতুল্য,অল্প কিছু দিনের মধ্যেই শুরু হতে যাচ্ছে বার্ষিক পরীক্ষা তাদের কল্যাণের জন্যই আমরা ক্লাস নিতে বাধ্য হচ্ছি আবহাওয়া যতক্ষণ পর্যন্ত অনুকূল থাকে ততক্ষণ পর্যন্ত ক্লাস হবে প্রতিকূলে গেলেছুটি ঘোষণা করবেন বলে কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
অন্যান্য শ্রম ও কর্মজীবী মানুষ তাদের পরিবারের চাহিদা মেটানোর জন্য শত বাধা উপেক্ষা করে এবৈরী আবহাওয়ায় কর্মস্থলে যেতে বাধ্য হচ্ছেন। নিম্নচাপের প্রভাব পড়েছে মুদি দোকান, মাছ,সবজি বাজারে, স্বল্প সংখ্যক ক্রেতার উপস্থিতিলক্ষণীয়। বৈরী আবহাওয়ার কারণে জেলেজাল ফেলেননি জলে। কৃষক কাজ করেননি মাঠে। গোখামারীতাদের গবাদিরপশুরকষ্টের শেষ নেই।
চা দোকানও রেস্তোরাঁয় লোকজনের উপস্থিতি ছিল অন্যান্য দিনের তুলনায় কম। যাত্রী স্বল্পতার কারণে রিক্সা অটোরিক্সা, রাস্তায় চলাচল করেছে কম। ঝোড়ো হওয়া ও বৃষ্টির ফলে কাঁচা মাটির উপরেঘরে বসবাসরত বাসিন্দাদের ঘরগুলোমাটির ভিটা ভেঙ্গে যাওয়ায় তারাচরম বিপাকে।